
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জমি দখল করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। উক্ত মামলায় সম্প্রতি আসামিরা গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে বের হন। জামিনে বের হয়ে আসামিরা আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। একইসঙ্গে মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, ফলে ভুক্তভোগী শিমু আক্তার নামে ওই নারী ও তার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন পারছেন করছেন।
জানা যায়, আসামিদের দখলকৃত জমি ফিরে পেতে গত ৩০ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিমু আক্তার নামে ওই নারী রূপগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে সাহিদুল ভূইয়া (৩২), আবু সাঈদ ভূইয়া ওরফে সাইদুল (৩৮) ও মো. জাইদুল ভূইয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে তাৎক্ষণিক জামিনে বেরিয়ে আসেন। এ মামলাটি বর্তমানে রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিম উদ্দিন তদন্ত করছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে রূপগঞ্জ থানাধীন রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত জাঙ্গীর পূর্বপাড়া বাদীর বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিবাদীরা বাদীর স্বামী মো. সিরাজুল ইসলামের চাচাতো ভাই। সিরাজুল প্রবাসে থাকার সুযোগে বিবাদীরা সিরাজুলের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর রূপগঞ্জ থানাধীন রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত জাঙ্গীর পূর্বপাড়ায় বসতবাড়ির পৈতৃক জমির মধ্যে ১০ শতাংশ জমির ওপর তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়া বেদখল করার উদ্দেশ্যে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে।
বাদী শিমু বলেন, আমার স্বামী সিরাজুল ইসলামের উক্ত জমিতে বিবাদীদের কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে বেদখল করিয়া জোরপূর্বক দখল করাকালে আমি বাধা দিলে আমাকে ও প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া মারধর করার চেষ্টা করে এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, একপর্যায়ে উক্ত বিবাদীরা ওই জমি থেকে জোরপূর্বক আমাকে বেদখল করিয়া একটি দু’চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে।
মামলা করলে ঘটনার সম্পৃক্ততা পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা জামিনে বের হয়। বের হয়ে তারা আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠে এবং আমাদের একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছি না, প্রতিনিয়ত আমাদের আতঙ্কে রাখছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সার্বিকভাবে তদন্ত করে আইনানুগভাবে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।